বিদ্যমান বন আইনে সীমানা চিহূিত করে সুন্দরবনে জেলেদের মাছ ও কাঁকড়া শিকার করার নির্দেশনা জারি করেছে সম্প্রতি সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগীয় দপ্তর।
গত আগস্টের শেষে জারি করা পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, যে ফরেস্ট স্টেশন থেকে জেলেরা পাশ সংগ্রহ করবে সে স্টেশনের আওতার খাল ও নদীতে জেলেরা মাছ, কাঁকড়া শিকার করতে পারবেন, অন্য স্টেশনের আওতার খাল ও নদীতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কিন্তু বন বিভাগের নির্দেশনা না মেনে নলিয়ান ফরেস্ট স্টেশনের আওতাধীন গেওয়াখালি, ভোমরখালি, পাথকষ্টা, কাগা দোবেকি, হংসরাজ, চেরাগখালি, মোরগখালির নদী খালে জেলেরা মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়রার কয়েকজন জেলে জানিয়েছে, নতুন নিয়মে কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের সীমানা কমে গেছে। এখানে খালের চেয়ে জেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মাছ শিকার করতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই গেওয়াখালি, ভোমরখালি, পাথকষ্টা, কাগা দোবেকির টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আমরা মাছ শিকার করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা শ্যামা প্রসাদ রায় বলেন, বন বিভাগের নির্দেশনায় ফরেস্ট স্টেশনগুলোর সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সীমানা পেরিয়ে বনের অন্যত্র নদী খালে গিয়ে যারা মাছ, কাঁকড়া শিকার করবে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ